চুলকানি হলে কিভাবে রোধ করবেন??


দেহে চুলকানি কোন নতুন সমস্যা নয়। বিভিন্ন কারণেই দেহে চুলকানি হতে পারে। অনেক সময়ই আমাদের হাতে, পায়ে, পিঠে চুলকানি হয়। তা কোন শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াই হতে পারে কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ যা আমরা হাত দিয়ে চুলকালেই সেরে যায়। তবে অন্যান্য ধরণের কিছু চুলকানি হয়ে থাকে যেমন, এলার্জি, মশার কামড় কিংবা যেকোন পোকার কামড়, শরীরে কোন জায়গায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ, হাত পা ছিলে গেলে তা শুকানোর সময়ও চুলকানি হয়ে থাকে।
আর এই সমস্যাগুলোতে হাত দিয়ে চুলকিয়েই আরাম পাওয়া যায়না। বেশি সমস্যা থাকলে ডাক্তার দেখাতে হয় কিংবা ঘরোয়া উপায়েও সারিয়ে তোলা যায়। তাই যে কোন রকমের চুলকানি সারিয়ে তুলতে আপনি সাহায্য নিতে পারেন প্রাকৃতিক কিছু জিনিসের।
চলুন জেনে নিই জিনিস গুলো ও তার ব্যবহার সম্পর্কে.....

লেবু:- ভিটামিন সি তে ভরপুর লেবু যে কোন চুলকানি খুব সহজেই দূর করে দেয়। বিশেষ করে লেবুর ভোলাটাইল তেল শরীরের যেকোন রকমের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। লেবু টুকরা করে কেটে নিয়ে চুলকানির স্থানে কিছুক্ষণ ঘষুন দেখবেন চুলকানি কবে যাবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি:- যদি আপনার ত্বক খুব নাজুক হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন কারণ এর কোন বিপরীত প্রতিক্রিয়া নেই এবং এই জেলিতে কোন ধরণের বিষাক্ত পদার্থ নেই যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করবে। তাই শরীরের কোন অংশে চুলকানি হলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা:- অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মশ্চারাইজিং ক্ষমতা। এবং এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো। শরীরের যেকোন জায়গায় চুলকানি হলে অ্যালোভেরা কেটে এক টুকরা নিয়ে সেখানে ঘষুন চুলকানি চলে যাবে।
তুলসী পাতা:- কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালা পোড়া ও চুলকানি তামাতে সহায়তা করে। কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে ধুয়ে নিন তারপর যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে পাতা গুলো কিছুক্ষণ ঘষুন। অথবা কিছু তুলসী পাতা জলে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই জল বরফ করুন এবং চুলকানি স্থানে ঘষুন।
চুলকানি হলে কিভাবে রোধ করবেন?? চুলকানি হলে কিভাবে রোধ করবেন?? Reviewed by Admin on October 25, 2018 Rating: 5
Powered by Blogger.